Sunday, October 21, 2012

ফ্রিল্যান্সিংয়ের নানা পদ্ধতি


বর্তমান ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে অনেকেই বৈধ পথে অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ খুঁজছেন। অনলাইনে আয়ের ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখেন, এমন অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন। অবশ্য সাম্প্রতিকালে বাংলাদেশে অনলাইনে আয় নিয়ে প্রতারণাও কম হয়নি। প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কায় অনলাইনে আয়ের সুযোগ আছে জেনেও অনেকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। বাস্তবে অনলাইনে আয়ে ইচ্ছুক পাঠকদের জন্যই এবারের বিশেষ প্রতিবেদন।

অ্যামাজন মেকানিক্যাল টার্ক
অতিরিক্ত আয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যামাজনের মেকানিক্যাল টার্ক বেশ ভালো একটি উপায় হতে পারে। এখানে কাজ করে অবশ্য ঘণ্টায় কয়েক ডলারের বেশি আয় করা সম্ভব নয়। তবে এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজ রয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ কাজ শেষ করতে এক মিনিটের চেয়ে কম সময় লাগে। আর জন্য আপনি পেতে পারেন কয়েক পেনি করে। এখানে কাজ করে বেশি অর্থ উপার্জন না করা গেলেও হাত খরচের টাকা অনায়াসেই তোলা সম্ভব। https://www.mturk.com/mturk/বিষপড়সব- সাইন আপ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে সহজেই আপনি অনলাইনে আয়ের সুযোগ নিতে পারেন।

নিজস্ব সংগ্রহের ছবি বিক্রি
www.istockphoto.com-এর মাধ্যমে আপনি নিজের সংগ্রহের ছবি বিক্রি করতে পারেন। ধরনের আরও অনেক সাইট রয়েছে। তবে নিজের সংগ্রহ সাইটে দেয়ার আগে কোন ধরনের ছবির চাহিদা ভালো, সেটা যাচাই করে নিন। ছবি নিয়ে যারা কাজ করতে ভালোবাসেন তাদের পক্ষেও সাইটটি কাজ করে থাকে। এর জনপ্রিয় অনেক ছবিই কম্পিউটারের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে। তাই দেরি না করে তিনটি সুন্দর ছবি নিয়ে istockPhoto- পরিদর্শনের জন্য পাঠাতে বসে যান। এতে সাইন আপ করলেই ছবি পাঠানোর সুযোগ পাবেন।

ফ্রিল্যান্স আর্টিকেল লেখক
এক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা খুব বেশি না হলেও এর চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। ২০০ থেকে ৩০০ শব্দের একটি আর্টিকেল লিখেই আর্টিকেল ডিরেক্টরিতে পাঠিয়ে দিতে পারেন। ব্লগার, বিপণনকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ অনেকেই এর গুরুত্বপূর্ণ গ্রাহক। আপনি বেশ কয়েকটি আর্টিকেল একসঙ্গে লিখে প্যাকেজ হিসেবেও এক বা একাধিক গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতি শব্দভিত্তিক মূল্য ধরেও গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী আর্টিকেল লেখা যেতে পারে। গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো নির্দেশ না পেলে এক্ষেত্রে সফলতার জন্য Online Writing Jobs, PoeWar Freelance Jobs Ges Writing.com.-এর মতো ওয়েবসাইটগুলো ভিজিট করা যেতে পারে।

অডিও শুনে লেখা
কাজটি বেশ সহজ হলেও এতে পারিশ্রমিকের পরিমাণ খুব বেশি নয়। তবে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে এটিও একটি উপায় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। কাজ শুরু করতে oDesk- সাইন আপ করা যেতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানির ফোরামে আপনার নিজের কাজের আগ্রহ সম্পর্কে জানাতে পারেন। এজন্য অবশ্য শোনার দক্ষতা এবং ইংরেজি ভাষাতে যথেষ্ট দক্ষতা থাকা একান্ত জরুরি।

আর্টিকেল লিখে আয়
আপনার যদি keyword research-এর মৌলিক বিষয়গুলো জানা থাকে, তাহলে প্রতি মাসে ehow.com- আর্টিকেল লিখে আপনি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্থ আয় করতে পারেন। এতে আপনার তৈরি করা আর্টিকেল থেকে অর্জিত অর্থের একটি অংশ আপনাকে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এক দিনে একাধিক আর্টিকেলও লিখতে পারেন। এভাবে এক মাস চেষ্টা করুন। গুগলে খোঁজ করা হয় এমন আর্টিকেল লিখতে পারলে মাসে বেশ ভালো আয় করতে সক্ষম হবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, একবার আপনার লেখা নির্বাচিত হলে মাসের পর মাস সেটা থেকে অর্থ পেতে থাকবেন।

কোনো পণ্যের প্রচারের উপযোগী ভিডিও তৈরি
ছোট-খাটো ভিডিও তৈরি করার শখ অনেকেরই থাকে। অনেক গুরুত্বহীন ভিডিও অনলাইনে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। একটি নির্বাচন করে সেটার উপযোগী ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে ছেড়ে দিন। ভিডিওতে পণ্যটির লিঙ্ক দিয়ে দিন। ভিডিওটি শেষে ৩০ সেকেন্ডের একটি স্টিল ফ্রেমে পণ্যটি কেনার ঁত্ষ দিয়ে দিন। আপনার ভিডিওটি তথ্যসমৃদ্ধ, ফানি এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণিত হলে কিছু পণ্য বিক্রি করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে পরামর্শ হলো প্রতিটি পণ্য বিক্রির পর ভালো অর্থ পাওয়া যায়, এমন পণ্যই প্রচারণার জন্য বেছে নেয়া উচিত।

স্থানীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনের সুবিধা
ব্যবসায়ীদের সব সয়ই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকের নিজস্ব ওয়েবসাইট নেই। যাদের রয়েছে, তারাও সেটা থেকে আশানুরূপ ফলাফল পাচ্ছেন না। ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট তৈরির জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রসারে সহায়তা করতে পারেন। আপনার সহযোগিতায় ব্যবসায়ীরা উপকৃত হলে আপনি এর সুফল পাবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস শিখে প্লাগইন তৈরি করুন
এখন বিভিন্ন ব্লগে প্লাগইন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ওয়ার্ডপ্রেস শিখে এসব ব্লগারদের কাছে নতুন নতুন প্লাগইন পাঠানোর মাধ্যমেও আয় করা যেতে পারে। এর আয় একেবারে কম নয়। ব্লগারদের চাহিদা অনুযায় প্লাগইন সরবরাহ করার মাধ্যমে একে পূর্ণকালীন পেশা হিসেবেও বেছে নেয়া যেতে পারে।

বিশেষ সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠুন
আমাদের দেশে পাইরেসি আইন তেমন কার্যকর নয় বলে আমরা ইচ্ছমত সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারছি। তাই বলে বিশেষ প্রয়োজনীয় কোনো সফটওয়্যারের গুরুত্ব কমে যায়নি। এক্ষেত্রে প্রয়েজনীয় সফটওয়্যারে বিশেষ দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে অনেক সময়ই বিভিন্ন কোম্পানিকে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। তাই সফটওয়্যারে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করে আপনার জানার বিষয়টি মানুষকে জানিয়ে দিন। প্রয়োজনে তারাই আপনাকে খুঁজে নেবে।

লোগো ডিজাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিন
ডিজাইন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকলে বিভিন্ন কোম্পানির চাহিদা মাথায় রেখে লোগো তৈরি করে ওয়েবে দিতে পারেন। 99 designs.com এমনই একটি স্থান, যেখানে আপনি নিজের তৈরি করা লোগো পাঠাতে পারেন। সেখানে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের লোগো জমা দিয়ে রাখেন। তাই সেখানে জমা দেয়ার পরপরই লোগো অন্যের পছন্দ হবে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। অনেকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লোগোটি বিজয়ী হলে আপনি এর পুরস্কার পাবেন। নবীন ডিজাইনারদের জন্য এটি বেশ ভালো একটি সুযোগ হতে পারে।

টুইটারের পটভূমি এবং -কভার তৈরি করুন
এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বেশ তীব্র। তবে আপনার যদি উদ্ভাবনী ক্ষমতা থাকে তাহলে অতিরিক্ত আয়ের এটি একটি ভালো উপায় হতে পারে। আপনি চিত্রশিল্পী হলে তো এক্ষেত্রে রয়েছে বাড়তি সুবিধা। প্রতিটি ডিজাইন তৈরির সময়ই এর একটি কারণ মাথায় রাখুন। বিষয়টি ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। টুইটার পটভূমির চাহিদা এখন তেমনটা নেই। ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে গুগলে সার্চ দিয়ে : How to creat your own Twitter Background পড়তে পারেন

1 comment: